নানা জটিলতায় আটকে থাকা সাড়ে ১২ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট শুরু হয়েছে। সোমবার (১১ অক্টোবর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পরিচালক শেখ মাহবুব-এ-রাব্বানী।
তিনি জানান, গতকাল রোববার গাজীপুর মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি থেকে প্রিন্টিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। কুরিয়ারে আমরা আমাদের আউটলেটগুলোতে পাঠিয়ে দেব, আবেদনকারীর মোবাইলে এসএমএস চলে যাবে। এরপর তারা এসে ওই কার্যালয় থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করবেন। তবে গ্রাহকের হাতে লাইসেন্স পৌঁছাতে আরো দু-এক দিন লাগবে।
জানা গেছে, নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য যারা আবেদন করছেন, নির্ধারিত তারিখেই তাদের লাইসেন্স সরবরাহ করছে বিআরটিএ। পাশাপাশি দীর্ঘদিন আটকে থাকা সাড়ে ১২ লাখের মতো লাইসেন্সও আগামী ৬ মাসের মধ্যে গ্রাহকদের হাতে তুলে দেয়ার কথা বলছে সরকারি সংস্থাটি। এরই মধ্যে লাইসেন্স প্রিন্টের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিআরটিএ।
এর আগে ড্রাইভিং লাইসেন্স স্মার্টকার্ড সরবরাহকারী হিসেবে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটি ২০১৯ সাল থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেয়। এরপর বেশ ভালোই বিপাকে পড়ে বিআরটিএ। তবে কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, এ সংকট আর থাকছে না। নতুন আবেদনকারীরা যথাসময়েই স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স পাচ্ছেন। মাদ্রাজ নামক একটি প্রতিষ্ঠান চুক্তি অনুসারে সেটি সরবরাহ করছে।
এ বিষয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেছিলেন, ১২ লাখ ৪৫ হাজার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেন্ডিং আছে। এটা দ্রুত করার জন্য ডিপিএম পদ্ধতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গাজীপুর মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিকে ওয়ার্ক অর্ডার দিয়েছি, চুক্তিও হয়েছে। অক্টোবর থেকে প্রিন্টিং শুরু হবে। আশা করি ৬ মাসের মধ্যে সব লাইসেন্স সরবরাহ করতে পারব।
এরই মধ্যে সেই কার্যক্রম শুরুর খবর দিল বিআরটিএ।